পুরনো কিছু রাজবাড়ির ইতিহাস যেখানে আপনি রাত্রি যাপন করতে পারবেন
4 years ago bongcuriosity@gmail.com• ইটাচুনা রাজবাড়ি –
হুগলি জেলার পাণ্ডুয়ার অবস্থিত এই ইটাচুনা রাজবাড়ি ইতিহাস তিনশো বছরের পুরনো। আগে আমরা এই ৩০০ বছরের ইটাচুনা রাজবাড়ি ইতিহাস সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনেনি। ‘খোকা ঘুমলো পাড়া জুড়লো, বর্গী এল দেশে’- এই লাইনটা হয়তো আমাদের সবারই জানা। সেই সময় মারাঠা থেকে বর্গী দের দল বারবার আক্রমন করত আমাদের এই রাজ্যে। তাদেরই মধ্যে কিছু জন প্রচুর ধন সম্পদ অর্জন করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে আমাদের এই রাজ্যে। তাদের মধ্যে একজন রাজা সাফল্য নারায়ন কুন্ডু। অনেকে মনে করেন মরাঠি ‘কুন্দন’ দের থেকেই এসেছিলেন ‘কুণ্ডু’রা। এই কুন্ডু পরিবারের বংশধর সাফল্য নারায়ন কুন্ডু ১৭৬৬ সালে ইটাচুনা রাজবাড়ি তৈরি করেছিলেন। স্থানীয়দের কাছে এটি বর্গীদের বাড়ি নামে পরিচিত। তাই এই জায়গার আরেক নাম বর্গীডাঙা। বিশাল আকার জায়গা জুড়ে অবস্থিত এ রাজবাড়ীতে। বহু বছর ধরেই রাজবাড়ীটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। কিছু বছর আগে এই রাজবাড়ীটিকে আবার নতুন করে সাজিয়ে তোলেন এই বংশের ১৪ তম প্রজন্ম ধ্রুবনারায়ন কুণ্ডু। যিনি এই রাজবাড়ির বর্তমান মালিক। এরপর থেকে এই ইটাচুনা রাজবাড়ী সবার কাছে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
অনেক বাংলা ও হিন্দি ছবির শ্যুটিং হয়েছে এই রাজবাড়ীতে। রণবীর সিং অভিনীত লুটেরা ছবির শুটিং হয়েছিল এই রাজবাড়ীতে।
ইটাচুনা নামটি এসেছে এই জায়গার গঠনশৈলী থেকে ইটা অর্থাৎ ইঁট এবং চুনাপাথর দ্বারা এই স্থানটি নির্মিত। লাল ও সাদা রং বিশিষ্ট দেওয়াল এবং বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় সুনিপুণ হস্তশিল্পের প্রাচুর্য বাড়ির প্রবেশদ্বার সবেতেই রাজকীয় প্রতিফলন। রাজবাড়ির মোট তিনটি অংশ একদম বাইরে রয়েছে বৈঠকখানা তারপর মধ্যভাগে রয়েছে মন্দিরের অংশ যেখানে রয়েছে নারায়ণ মূর্তি। প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলা সেখানে নিয়ম করে আরতি হয়। এছাড়াও রয়েছে অন্দরমহল এটিই হল মূল বসবাসস্থল সমগ্র রাজবাড়ি জুড়ে রয়েছে পুরনো দিনের আসবাবপত্র যা অতি যত্ন সহকারে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। রাজবাড়ির সমগ্র অংশে বিশাল লম্বা করিডর, পুরনো আমলের বিশালাকার আয়না, পুকুরে মাছ ধরা, ছাদে ঘুড়ি ওড়ানো, বনফায়ার ও বিভিন্ন গাছের বাগান উপরিপাওনা।
- কোথায় থাকবেন
ইটাচুনা রাজবাড়িতে রাত কাটানোর জন্য মোট ১০ টি ঘর অতিথিদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও চারটি মাটির ঘর রয়েছে যেখানে অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। দুজনের জন্য এক রাতের ভাড়া ১৫০০ থেকে ৪৫০০ টাকা পর্যন্ত ঘর বিশেষে বিভিন্ন।
- কি খাবেন ?
এখানকার খাবারের ব্যবস্থাও মন কেড়ে নেয় বিশাল খাবার টেবিলে কাসার থালায় একদম ঘরোয়া বাঙালি খাবারের পরিবেশনেও পাওয়া যায় রাজকীয় ছোঁয়া। এখানকার খাবারের স্বাদ মুখে লেগে থাকবে বহু দিন।
- কীভাবে যাবেন ?
১। হাওড়া থেকে বর্ধমান মেন লাইনে ব্যান্ডেল ছাড়িয়ে আরও গোটাতিনেক স্টেশনের পর আসবে খন্যান। সেখনে নেমে এ নেমে রিকশা তে গেলেই এই রাজবাড়ি।
২। কলকাতা থেকে গাড়ি নিয়ে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে দু’ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাবেন ইটাচুনা রাজবাড়িতে
- কি কি দেখার আছে?
এখানকার জটেশ্বর শিব মন্দির, ইমামবাড়া, ব্যান্ডেল চার্চ এছাড়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাসস্থান।
• কাশিমবাজার রাজবাড়ি –
জমিদারবাড়ির আরেক অন্যতম নিদর্শন মুর্শিদাবাদের কাশিমবাজার ছোট রাজবাড়ি, যেখানকার পরিবেশ আপনাকে এক মুহূর্তেই নিয়ে যাবে তিনশো বছরের পুরনো বাংলায়। ১৭০০ সালে রায় পরিবারের দ্বারা এই রাজবাড়ি নির্মিত। তখনকার সময়ে কাশিমবাজার ছিল বাংলার এক গুরুত্বপূর্ণ বন্দর, যা ছিল ব্যবসায়ীদের অন্যতম আকর্ষণ। অযোধ্যা নারায়ন রায় নামক এক ব্যবসায়ী এই প্রাসাদ নির্মাণ করে নিজের পরিবারের সাথে এখানে বসবাস করতে শুরু করেন, এবং নিজেদের ব্যবসা বাড়িয়ে তোলে এবং ব্রিটিশযুগেও তাদের প্রতিপত্তি গড়ে তোলেন। শুধু মাত্র কুড়ি টাকা টিকিট কেটে আপনি এই রাজবাড়ী দর্শন করতে পারেন ওখানকার কর্মচারী পুরো মহলটি ঘুরে দেখান এবং খুব সুন্দর করে প্রত্যেকটি জিনিস বর্ণনা করে দেন। রাজবাড়ির চারপাশে রয়েছে সবুজের সম্ভার, বাঁধানো পুকুর ও বসার সুন্দর জায়গা। রাজবাড়ির ভেতরের উঠোনে বসার সুন্দর জায়গা, আগেকার দিনের গোলাকার মস্তক বিশিষ্ট জানালা এক ধাক্কায় নিয়ে যায় আপনাকে বহু যুগ আগেকার সময়ে। বাড়ির প্রত্যেকটি কোনায় প্রাচীন স্থাপত্যের পরিচয়। হুক্কা, সেগুন কাঠের আসবাবপত্র, পালকি আরও কত কি। এছাড়াও শোয়ার ঘর গুলিতে এখনো রয়েছে আগেকার দিনের কাপড় দিয়ে তৈরি পাখা যা দড়ির সাহায্যে নাড়ালে বাতাস পাওয়া যায়। এছাড়াও রয়েছে দূর্গা পূজার জন্য বড় দালান, যেখানে এখনও প্রত্যেক বছর নিয়ম করে দুর্গা পুজো হয়। রয়েছে উনুনও, এক কথায় বলতে গেলে পুরনো রাজবাড়ি প্রত্যেকটি জিনিস এখনও রয়েছে একই রকম। ৯০-এর দশকে উত্তরাধিকাররা বাড়ির মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেন। বাড়ির কিছুটা অংশ নিয়ে অতীত ঐতিহ্য বজায় রেখে পরিবারেরই উদ্যোগে ট্যুরিস্টদের থাকার জন্য চালু হয়েছে। রূপকথা গেস্ট হাউস।
- কোথায় থাকবেন ?
রাজবাড়ীতে তিনটি ঘরে অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এসি রুমের দাম মোটামুটি ৪ থেকে ৬ হাজারের মধ্যে। নন-এসি হলে খরচ আরও কম।
- কীভাবে যাবেন ?
বহরমপুর স্টেশন থেকে টোটো ধরে এখানে পৌঁছাতে পারবেন সহজেই।
• বলাখানা রাজবাড়ি –
বাংলার সম্ভ্রান্ত পাল চৌধুরী বংশের বিপ্রদাস পাল চৌধুরীর ইচ্ছা রক্ষার্থে তার দাদা নফর চন্দ্র ১৮৭৫ সালে, সেই সময়কার নীল ব্যবসায়ী ডঃ জন অ্যাঞ্জেলো স্যাভির উত্তরসূরি হেনরি ন্যাজভিট স্যাভির থেকে ১৭ একরের জায়গা কিনে নেন। যারই অন্তর্গত ছিল ১২ হাজার বর্গফুটের ইতালিয়ান তৈরি একতলা বাড়ি। পরে তার পুত্র রণজিৎ তার এস্টেট এর মধ্যে তৈরি করেন রানওয়ে যেখানে তার নিজস্ব টাইগার মথ প্লেন নিয়ে যাতায়াত করতেন। বর্তমানে তার পুত্র শ্রী রণধীর পাল চৌধুরী এই সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ করেন। নদীয়ার কৃষ্ণনগর থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে নবদ্বীপ ঘাট রোডের ওপর অবস্থিত এই রাজবাড়ী। বিশেষ আকর্ষণ হলো ৪ ফুট উঁচু ছত্রিওয়ালা খাট, যাতে উঠতে তিন ধাপ সিঁড়ি পেরোতে হয়। এছাড়াও বাড়ির সামনে দুই হাজার বর্গফুটের বারান্দা ও সেখানকার প্রাচীন আসবাবপত্র দেখার মত।
- কীভাবে যাবেন ?
কৃষ্ণনগর স্টেশন থেকে টোটো ধরে এখানে পৌঁছানো যায়।
- কোথায় থাকবেন ?
তিনটি এসি এবং তিনটি নন-এসি ঘর অতিথিদের জন্য বরাদ্দ। বাকিগুলি পরিবারবর্গের বসবাসের জন্য। এছাড়া বসার ঘর এবং খাবার ঘরও রয়েছে। এখানে দুজনের জন্য একটি রুমের ঘর ভাড়া প্রতি রাতে ৩৫০০ টাকা, তবে ছুটির দিনগুলিতে ৫০০০ টাকা, এছাড়া এসির জন্য আলাদা ভাড়া দিতে হয়।
এখানে রাজকীয় খাবারের ব্যবস্থাও রয়েছে খাবারের পছন্দ অনুযায়ী চার্জ আলাদা।
• বাওয়ালি রাজবাড়ি –
বাওয়ালি নামটি এসেছে ৫০০ বছর আগেই এখানে বসবাসরত উপজাতি গোষ্ঠী বাওলির নাম থেকে। যাদের মূল জীবিকা ছিল মধু ও কাঠ সংগ্রহ। মোগল সম্রাট আকবরের সেনায় কর্মরত সোভারাম রায় কৃষক ও জলদস্যুদের বিদ্রোহ দক্ষতার সাথে দমন করে ফিরে আসার পর সম্রাট তাকে, বাংলাতে তিন লক্ষ্য একর জমি উপহার দেয়। তার বংশধর হরনন্দ মন্ডল এবং তার উত্তরসূরিরা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে ব্যবসার দরুন নিজেদের প্রতিপত্তি বৃদ্ধি করে এবং ধীরে ধীরে বাংলার অন্যতম জমিদার বংশ গুলির মধ্যে নিজেদের নাম তৈরি করে নেন। এই মন্ডল পরিবার ভগবানের উপাসক, তাই তারা নিজেদের বসতির পরেই নানান মন্দির গড়তে শুরু করেন, যা ঘিরে তৈরি হয় নতুন বসতি এইভাবে ধীরে ধীরে একটি ছোট গ্রাম রূপান্তরিত হয় মন্দির ও প্রাসাদ সম্পন্ন একটি শহরে। কিন্তু স্বাধীনতার পর তাদের সম্পদ ও প্রতিপত্তি নষ্ট হতে থাকে এবং পরবর্তী প্রজন্মরা নিজেদের জীবনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েন। কিন্তু সাম্প্রতিককালে ধ্বংসপ্রায় রাজবাড়িটিকে বিশেষভাবে এবং উৎকৃষ্ট পন্থায় পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে এই রাজবাড়ী ডেস্টিনেশন ওয়েডিং, ওয়েডিং সুট প্রভৃতি নানা কাজে ভাড়া দেওয়া হয়। এখানে অতিথিদের থাকার জন্যে বিভিন্ন রকমের ঘর ভাড়া দেওয়া হয়। প্রত্যেকটি ঘরের আসবাবপত্রে আগেকার দিনের জমিদারদের আভিজাত্য স্পষ্ট, তার সাথে রয়েছে বর্তমান যুগের সমস্ত সুযোগ সুবিধা। থাকার ঘর, বসার জায়গা, খাবার জায়গা সমস্ত জায়গাই বিলাসবহুল ভাবে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। রয়েছে বর্তমান ধাঁচে তৈরি সুইমিং পুলও। এছাড়া পছন্দমত খাবারের ব্যবস্থাও রয়েছে যাতে থাকবে ৩৫০ বছরের পুরনো জমিদারি রন্ধনশৈলীর ছোঁয়া। তবে অন্যান্য রাজবাড়ির তুলনায় এই রাজবাড়িটি কিছুটা ব্যয়বহুল।
খরচ মোটামুটি ৭৫০০ টাকা। তবে সবুজে ঘেরা ভগ্নপ্রায় রাজ বাড়ির মধ্যেকার লাক্সারিয়াস ব্যবস্থাপনাও নজরকাড়া তাই একবার ঘুরে আসতেই পারেন।
- কীভাবে যাবেন ?
কলকাতা থেকে মাত্র ৩৩ কিলো মিটার দূরত্বে এই রাজবাড়িটি অবস্থিত। বজবজ স্টেশন থেকে রিকশা করে এখানে পৌঁছে যেতে পারবেন।
• মহিষাদল রাজবাড়ি –
মহিষাদল রাজ পরিবারের উৎপত্তি হয়েছিল সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে। প্রারম্ভকালে তাম্রলিপ্ত রাজপরিবারের বীরনারায়ণ রায় চৌধুরী এখানকার দেখি ঘুমায় নামক এক গ্রামে রাজত্ব করতেন। পরবর্তীকালে তার উত্তরসূরি কল্যাণ রায় চৌধুরীর থেকে সম্রাট আকবর এই অঞ্চলের জমিদারিত্ব অর্পণ করেন। আকবরের সভায় উত্তরপ্রদেশ থেকে আগত এক অফিশিয়াল জনার্ধন উপাধ্যায়কে। তার উত্তরসূরিরাই পরবর্তী রাজা ঘোষিত হন এবং ছোট ছোট গ্রাম তৈরি করতে থাকেন। তবে ১৭৭০ সালে তার নাতি আনন্দলাল উপাধ্যায়ের বিধবা স্ত্রী রানী জানকী সিংহাসনে বসেন এবং অত্যন্ত দক্ষতার সাথে রাজত্ব করেন। তিনি এই এলাকায় নানান মন্দির স্থাপন করেন যার মধ্যে অন্যতম মদন গোপাল মন্দির, যা রাজবাড়ী ছত্তরের মধ্যে এখনও বিদ্যমান। তারপরও সিংহাসনে বসেন তার নাতি গুরুপ্রসাদ গড়্গ। সেই সময় থেকেই গড়্গ বংশ এই জমিদারির দায়িত্ব পায়। বর্তমানে এই রাজবাড়ীর দায়িত্বে রয়েছেন হরপ্রসাদ গড়্গ। মহিষাদল রাজবাড়ির দুটি প্রাসাদ একটি পুরনো ও একটি নতুন। পুরনোটি রঙ্গিবসন প্রাসাদ নামে পরিচিত সেটি বর্তমানে তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকে। তবে রথযাত্রা ও দুর্গাপূজা হয় এই প্রাসাদের দুর্গা মন্ডপে। যা এখানকার অন্যতম উৎসব। আর নতুন প্রাসাদটির নাম হল ফুলবাগ প্রাসাদ এটিতেই সম্প্রতি অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৯২৬ সালে নির্মিত এই প্রাসাদটির আনাচে-কানাচে রয়েছে সেই জমিদারের চিহ্ন যার মূল আকর্ষণ শিকার ঘর, billiards room এবং মিউজিক্যাল রুম। শিকার ঘরে দেখতে পাবেন শিকার করা আসল পশুর চামড়া কিভাবে কৃত্রিম ভাবে স্টাফ করে রাখা হয়েছে, যা এখনো অতি যত্নের সাথে সংরক্ষিত। অন্য দুটিতে সংরক্ষিত রয়েছে নানান প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র এবং সে সময়কার ব্যবহৃত অস্ত্র শস্ত্র। রয়েছে বিশাল বড় দরবার হল ঝুলবারান্দা যাদের মধ্যে রাজকীয় ছাপ স্পষ্ট।
- কোথায় থাকবেন ?
এই রাজবাড়ির দুটিতে বর্তমান যুগের সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন করে অতিথিদের রাত্রিবাসের জন্য দেওয়া হয়েছে। তবে আসবাবপত্র ও অন্যান্য ব্যবস্থা কিন্তু সেই জমিদারি ধাঁচেরই।
একটি রুমে ৮ জনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে, যার এক রাতের ভাড়া ৮০০০ টাকা অন্যটির ভাড়া ৪৫০০ টাকা যেখানে চারজনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। আপনাদের পছন্দমত রান্না এখানে ঘরোয়াভাবে করে দেওয়া হবে।
- কীভাবে যাবেন ?
কলকাতা থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই রাজবাড়িতে পৌঁছাতে হলে হাওড়া হলদিয়া লোকাল ট্রেনে সতীসামন্ত হল স্টেশনে নেমে অটো বা রিক্সা করে সহজে পৌঁছাতে পারেন এই আকর্ষণীয় রাজবাড়িতে।
ভালো লাগলে পোস্টটি সকলের
সাথে অবশ্যই শেয়ার করুন ।
আপনার যেকোন মতামত
নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে
জানান |
নিচের ভিডিওটি দেখুন