দুর্গাপুজোর পরেই বাঙালির আরেক বড় উৎসব, জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagadhatri Puja)। অনেকেই সারা বছর অপেক্ষা করে বসে থাকেন এই পুজোর জন্য। জগদ্ধাত্রী পুজো মানে প্রথমেই যে জায়গা দুটির নাম মনে পড়ে যায় তা হল কৃষ্ণনগর ও চন্দননগর।
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো মূলত আলোর কাজের জন্যে বিখ্যাত। তবে অনেকেরই অজানা, নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরেই জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রবর্তন হয় ১৭৬২ সালে।
আপনি যদি কলকাতা থেকে যান আপনাকে মানকুন্ডু স্টেশন নামতে হবে। স্টেশন থেকে নামার পর প্রথমেই পর পর কিছু মণ্ডপ দেখতে পবেন সেগুলি হল –
Jagadhatri Puja
১। মানকুণ্ড স্পোর্টিং
২। নতুন পাড়া
৩। নিয়োগী বাগান
৪। সার্কাস মাঠ
৫। তেমাথা রানী মা দেখে ডান দিকে কিছুটা গেলেই দেখতে পাবেন
৬। বারাসাত গেট (৭৫ বছর) এটি দেখার পর আবার ফিরে আসুন তেমাথা রানী মার কাছে
৭। ছুতোর পাড়া এটি দেখার পার চলে আসুন
৮। হাটখোলা মনসাতলা
৯। হাটখোলা মনসা তলা জগদ্ধাত্রী পূজা
১০। লিচুতলা চন্দননগর
১১। রথের সড়ক সম্বলাশিবতলা জগদ্ধাত্রী পূজা এটি দেখার পর চাইলে কিছুক্ষণ গঙ্গার ধারে সময় কাটাতে পারেন।
১২। বাগবাজার চৌমাথা এবার চলে আসুন কলুপুকুরের দিকে। বিদ্যালঙ্কার দেখে বাঁ-দিকে হাঁটলে পাবেন হেলাপুকুর ধার, পালপাড়া, সুরেরপুকুর, কাঁটাপুকুর, সন্তানসঙ্ঘ, হরিদ্রাডাঙা
১৩। পালপাড়া
১৪। হেলাপুকুর
১৫। বিদ্যালঙ্কার এরপর বড়বাজার এবং বাগবাজারের প্রাচীন পুজো দেখে চন্দননগরের স্টেশন রোডের দিকে এগিয়ে আসুন। মধ্যাঞ্চল, ফটকগোড়া, মধ্যাঞ্চল, খলিসানির পুজো সেখানেই পড়বে।
১৬। বাগবাজার
১৭। ফটকগোরা
১৮। খলিসানি
একদিনে এর চেয়ে বেশি ঠাকুর দেখতে পারবেন না। দ্বিতীয় দিন হাতে সময় থাকলে সফর শুরু করুন চন্দননগর স্টেশন থেকে। কলপুকুরধার, শীতলাতলা, বউবাজার, সুভাষপল্লির পুজো দেখে নিন। লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারের দিকে যেতে পারলে চাউলপট্টিতে আদি মা এবং কাপড়ের পট্টিতে মেজ মা দেখতে ভুলবেন না।