এবার আমাদের দেশে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভগবান শিবের মূর্তি
পৃথিবীর সবথেকে উঁচু মূর্তির পর আমাদের দেশে তৈরি হয়েছে পৃথিবীর সবথেকে উঁচু ভগবান শিবের মূর্তি,যার নাম Statue Of Belief অর্থাৎ বিশ্বাসের মূর্তি। আর শুধু তাই নয় এই মূর্তিটি হতে চলেছে ভারতের দ্বিতীয় তথা পৃথিবীর চতুর্থ উঁচু মূর্তি।
•মূর্তিটি কোথায় আবস্থিত ?
এই মূর্তিটি তৈরি হয়েছে রাজস্থানের রাজসামান্দ জেলার নাথদোয়ারা শহরে। এই মূর্তিটি এতটাই উঁচু যে ২০ কিলোমিটার দূর থেকেও এই মূর্তিটিকে দেখতে পাওয়া যায়।
এই মূর্তিটির খরচ সরকারি fund থেকে নয়, এই মূর্তি তৈরীর সমস্ত খরচ এর দায়িত্ব নিয়েছে Miraj group নামের একটি leading business group, যেখানকার owner হলেন মদন পালিওয়াল।
• মূর্তিটির গঠন কেমন ?
ভারতের এই দ্বিতীয় তথা পৃথিবীর চতুর্থ উঁচু মূর্তিটির উচ্চতা প্রায় ৩৫১ ফুট, পাদভূমির উচ্চতা ১১০ ফুট, পা থেকে কোমর পর্যন্ত ৭৫ ফুট এবং কাঁধ পর্যন্ত উচ্চতা ২৮০ ফুট আর ভগবান শিবের শুধুমাত্র মুখের উচ্চতা ৬০ ফুট, জটা ১৬ ফুট এবং ত্রিশূল এর উচ্চতা প্রায় ৩০০ ফুট।
এই মূর্তিটির পাহাড়ের আকৃতির পাদভূমিটিকে silver color এবং মূর্তিটিকে copper color zinc coating করা হয়েছে, যাতে প্রচুর রোদ-বৃষ্টিতেও এই মূর্তির রং নষ্ট না হয়।
ভগবান শিবের এই মূর্তিটির মাথার ভেতর দুটি জলের ট্যাংকের ব্যবস্থা করা হয়েছে যার মধ্যে একটির জল ভগবান শিবের জটা থেকে বেরোবে এবং আরেকটি ট্যাংকের জল emergency তে কাজে লাগবে।
মূর্তিটির ভেতরে চারটি লিফট রয়েছে দুটি VIP দের জন্য এবং দুটি general public দের জন্য। চারটি লিফটের দুটি লিফট আপনাদের ১১০ ফুট উচ্চতায় এবং দুটি লিফট ২৮০ ফুট উচ্চতায় অর্থাৎ মূর্তির কাঁধ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। এই ২৮০ ফুট উচ্চতায় দুই ধারে দুটি balcony করা হয়েছে যেখান থেকে নাথদোয়ারা শহরের amazing view আপনারা দেখতে পাবেন।
এই মূর্তিটির আবার wind tunnel test অর্থাৎ উঁচুতে হাওয়ার প্রেসার টেস্ট ও করা হয়েছে, যাতে দেখা গেছে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার/ঘন্টা গতিবেগ সম্পন্ন হাওয়াতেও এই মুটিটির কোন ক্ষতি হবে না। এ বিশালাকার মূর্তিটির ভেতরে যাওয়ার জন্য তিনটি সিঁড়ি করা হয়েছে।
[ আরও জানুন- বিশ্বের সবথেকে বড় পাখির মূর্তি ]
এই মূর্তি তৈরিতে ২৬০০ টন লোহা এবং ২৬৬১৮ কিউবিক মিটার সিমেন্ট লেগেছে। এই মূর্তিটি তৈরি করার জন্য ৯০ জন ইঞ্জিনিয়ার স্টাফ এবং ৯০০ জন কারিগর দিনরাত কাজ করেছে।
• মূর্তিটির আশেপাশে কি থাকবে ?
এই মূর্তিটির সামনে আবার ২৫ ফুট উঁচু এবং ৩৭ ফুট চওড়া নন্দীকেও বানানো হয়েছে যেটি বানাতে সময় লেগেছে প্রায় দুমাস। এ বিশালাকারের মূর্তি সমেত যে চারপাশের area দেখছেন তা প্রায় ২৭ হাজার স্কোয়ার ফুট বা ২৫.২ বিঘা। এই মূর্তিটির চারপাশের area জুড়ে তৈরি হতে চলেছে হারবাল গার্ডেন, চিলড্রেন পার্ক, ফুডকোর্ট, মার্কেট, মিউজিকাল ফাউন্টেন আরো কত কি।এই মূর্তিটি পরিক্রমা করার জন্য একটি ৩০০ ফুট এবং একটি দেড় কিলোমিটার রাস্তাও বানানো হয়েছে।
এ মূর্তিটির লাইটিং এর কাজ মস্কো কোম্পানি নামের এক আমেরিকান কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে যাতে রাতের দিকেও দূর থেকে খুব ভালোভাবে এই মূর্তিটিকে দেখতে পাওয়া যায় এই কোম্পানি নাকি Statue of liberty-র লাইটিং এর কাজও করেছিল। এই সুন্দর মূর্তি ডিজাইন করেছেন পৃথিবী বিখ্যাত মূর্তিকার নরেশ কুমাওয়াত এবং এই মূর্তিটি বানানোর দায়িত্ব নিয়েছে Shapoorji Pallonji নামের একটি construction কোম্পানি।
এই মূর্তি তৈরির কাজ সম্পূর্ন হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের মার্চ মাসের শেষের দিকে, কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে লকডাউন এর ফলে এই মুহূর্তে তৈরীর কাজ এখনও সম্পূর্ন হয়ে ওঠেনি।
নিকটতম রেলস্টেশনঃ মাভ্লি জাংশন
রাজস্থানের উদয়পুর রেলস্টেশন থেকে নাথদোয়ারা শহরের দুরত্বঃ ৬২ কিমি।
রাজস্থানের মহারানা প্রতাপ এয়ারপোর্ট থেকে নাথদোয়ারা শহরের দুরত্বঃ ৫৪ কিমি।
ভালো লাগলে পোস্টটি সকলের সাথে অবশ্যই শেয়ার করুন । আপনাদের মতামত নিচে কমেন্ট করে অবশ্যই জানান আমরা অপেক্ষায় আছি ।
নিচের ভিডিওটি দেখুন