শীতের ঠান্ডা যতই কষ্টদায়ক হোক, আনন্দপ্রেমী বাঙালির জন্য এই সময় একেবারে আদর্শ। এই সময় গরমের প্রখরতা কম থাকার দরুন, আমরা বেরিয়ে পড়ি বিভিন্ন জায়গায় শীতের আমেজকে জমিয়ে উপভোগ করতে। আর তাই শীতকালে পিকনিক হয়ে ওঠে এক গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ। আজকের ভিডিওয় থাকল এমন কিছু মনোরম জায়গার হদিশ, যেখানে আপনারা শীতের মজা জমিয়ে উপভোগ করতে পারবেন।
• পানিত্রাস –
কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি, পানিত্রাস হল একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। কলকাতা থেকে সামান্য দূরে, দেউল্টি স্টেশনে নেমে অটো বা বাসে করে পৌঁছে যেতে পারবেন এই স্থানে। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পুরাতন স্মৃতির সাক্ষী থাকার সঙ্গে, এই স্থানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনার মন ছুঁয়ে যাবে। কাছে পিঠে রয়েছে অনেক গেস্ট হাউস। রাত্রিযাপন করতে পারেন দেউল্টির বিখ্যাত গেস্ট হাউজ নিরালাতেও।
• বাকসি –
হাওড়ার বাগনান স্টেশন থেকে মাত্র কিছু দূরে পাবেন পিকনিকের আদর্শ স্পট বাকসি। নদীর ধারে মনোরম এই জায়গায় একদিনের চড়ুইভাতি বেশ উপভোগ করবেন আট থেকে আশি সকলে। তবে আগে থেকে বুকিং করে যাওয়াই শ্রেয়।
• সোয়াখাল পর্যটন কেন্দ্র –
হুগলির রাজহাটে অবস্থিত সুসজ্জিত বাগান হল সোয়াখাল পর্যটন কেন্দ্র। ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে টোটো বা অটো করে পৌঁছে যেতে পারবেন এই পিকনিক স্পটে। ছোটদের মন ভালো করার জন্য যেমন সকল আয়োজন আছে, তেমনই প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য রয়েছে সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের সমাহার।
• বাওয়ালি –
কলকাতা থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাওয়ালি পর্যটন কেন্দ্র। সবুজ বনানী এবং মনোরম জলাশয় নিয়ে সৌন্দর্যায়ন ঘটেছে এই স্থানের। এছাড়াও এই স্থানটিতে রয়েছে অনেক ঐতিহাসিক স্থানের সমাহার। রয়েছে ৪০০ বছরের পুরনো রাজবাড়ীও। এই স্থানে রাত্রিবাস করলেও আপনি এক দারুন অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকবেন। শান্ত, নির্ঝঞ্ঝাট, কোলাহল মুক্ত এই স্থানে, রাতের আকাশ জুড়ে বিছিয়ে থাকে তারার মেলা। এমন এক রাত্রির সাক্ষী থাকতে পারলে কিন্তু আপনার এই রাত্রিযাপন চিরকাল মনের মণিকোঠায় বিরাজ করবে।
• গাদিয়ারা –
হাওড়া জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হল গাদিয়ারা। ধর্মতলা থেকে বাসে মাত্র দুই থেকে আড়াই ঘন্টার দূরত্বে অবস্থিত এই স্থান। হুগলী নদীর তীরে অবস্থিত এই পিকনিক স্পটে শীতের আমেজ গ্রহণ করতে ভালোবাসেন যেকোনও বয়সের ভ্রমণপ্রেমী মানুষ।
• ছায়াবীথি পিকনিক গার্ডেন –
নদীয়ার ভালুকা বটতলার কাছে ছায়াবীথি পিকনিক স্পট হয়ে উঠতে পারে এই শীতে আপনার একদিনের গন্তব্য। নিরপত্তার জন্য এই স্থান রয়েছে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। রিয়েছে একটি বড় লোহার দরজাও। বাচ্চাদের বিনোদন প্রদানের বিভিন্ন আয়োজনের সঙ্গে পানীয় জল এবং শৌচালয়েরও সুব্যবস্থা রয়েছে। পিকনিকের যাবতীয় যন্ত্রপাতির জন্য আপনি এই স্থান থেকেও ভাড়া নিতে পারেন।
• বাবুর হাট –
কলকাতার কাছাকাছি অবস্থিত বাবুর হাট একটি অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। কলকাতার ইট কাঠ পাথরের জঙ্গল থেকে একটু অবকাশ পেতেই, মানুষ ছুটে যান এই নৈসর্গিক সৌন্দর্যসম্পন্ন স্থানটিতে। কলকাতা থেকে এই স্থানের দূরত্ব মাত্র ৪৮ কিলোমিটার। সবুজ ধানের ক্ষেতের গালিচা বিছানো এই স্থানের পরিবেশ বেশ মনোরম। সবুজের হাতছানির মাঝে এই স্থানের মানুষদের আতিথেয়তা আপনাদের মুহূর্ত যাপনকে আরও প্রানবন্ত করে তুলবে।
প্রিয় দর্শক বন্ধুরা, এর মধ্যে কোন জায়গাটি আপনি গেছেন বা যাবেন অবশ্যই আপনাদের অভিজ্ঞতা আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন। ভভালো লাগলে অবশ্যই লাইক এবং শেয়ার করবেন।