পশ্চিমবঙ্গ ভারতের এমন একটি রাজ্য যে রাজ্যের সীমানার মধ্যে আপনারা দুর্গ থেকে প্রাসাদ এবং সমাধি থেকে শুরু করে অসংখ্য ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ দেখতে পাবেন। কিন্তু অনেকের কাছেই অজানা যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি খনি।
এই সুন্দর রাজ্যে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যে জায়গাগুলো দেশের অন্যান্য রাজ্যের জায়গা গুলোর সাথে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতার টেক্কা দিতে পারে। আর যখন পশ্চিমবঙ্গের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা আসে তখন সেখানকার lake বা হ্রদের কথা তো বলতেই হয়। তো চলুন আজ পশ্চিমবঙ্গের কিছু বিখ্যাত ও বিস্ময়কর হ্রদের ব্যাপারে জানা যাক।
শীতল জলবায়ু এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই মিরিক লেক দার্জিলিং এ অবস্থিত। এর অপর নাম হল সুমেন্দু লেক। এই lake উত্তর পূর্ব ভারতের অন্যতম দর্শনীয় স্থান এবং পিকনিক স্পট হিসেবে জনপ্রিয়।
এই lake এ boating-এর সাথে সাথে এই লেকের চার পাশের area-য় horse riding এর ব্যবস্থা ও রয়েছে। এছাড়া এই lake এর কাছাকাছি রয়েছে বোকার মনেস্ট্রি, মিরিক চার্চ, একটি চা বাগান এবং একটি কমলালেবুর বাগান।
ঠিকানাঃদার্জিলিং থেকে দুরত্ব- ৫৯কিমি, পশ্চিমবঙ্গ ৭৩৪১০১
পশ্চিমবঙ্গের পাহাড় এর মধ্যে লুকিয়ে থাকা একটি সৌন্দর্য হলো এই সেনচল লেক। এই lake টি দার্জিলিং এই অবস্থিত। আকাশছোঁয়া উচু পাহাড় এবং সবুজ সবুজ ঘাস ও গাছপালায় ঘেরা এমন একটি জায়গা যেখানে প্রতিটি পিকনিক প্রেমীদের যাওয়া উচিত।
হ্রদের চারপাশে সুন্দর সুন্দর গাছের উপস্থিতি এই জায়গাটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। এই lake টি মূলত সেঞ্চল অভয়ারণ্যের একটি অংশ।এই হ্রদটি এখানকার নিকটবর্তী গ্রামগুলির চাহিদা পূরণের জন্য জলাধার হিসেবেও কাজ করে।
ঠিকানাঃদার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ ৭৩৪১০২ (ঘুম রেলস্টেশন থেকে ১২ মিনিট)
সময়সীমাঃপ্রতিদিন সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যে ৬ টা ( বর্ষাকালে বন্ধ থাকে )
কোচবিহার জেলায় অবস্থিত এই রসিকবিল lake একটি bird sanctuary র অংশ, আর সেই কারণেই এই lake এর চারপাশে সর্বদা বিভিন্ন পাখির ডাক শুনতে পাওয়া যায়, যা এখানকার পরিবেশ কে আরো লোভনীয় এবং মনমুগ্ধকর করে তোলে।
এখানে গেলে আপনারা কয়েক প্রজাতির পাখি দেখতে পাবেন, যেমন- kingfisher, spoonbill, cormorant আরো কত কি। এছাড়াও এর কাছাকাছি রয়েছে একটি crocodile rehabilitation centre এবং একটি deer park।
ঠিকানাঃকোচবিহার, তুফানগঞ্জ মহকুমা, কামাখ্যাগুড়ি শহরের কাছকাছি (কোচবিহার রেলস্টেশন থেকে দুরত্ব- ৩৫ কিমি, কামাখ্যাগুড়ি রেলস্টেশন থেকে মাত্র ৭.৫ কিমি)
সময়সীমাঃপ্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা
টিকিটেরদামঃ ১০ টাকা করে entry fee, boating এর জন্য ৫ টাকা করে এবং still camera র জন্য ২০ টাকা করে।
আমার মনে হয় যারা কলকাতাবাসী তাদের কাছে এই lakeটি অতিপরিচিত। প্রতিবছর এই লেকের ধারে হাজার হাজার মানুষ করতে আসেন। সুন্দর উদ্যান ও পার্কগুলির উপস্থিতির কারণে স্থানীয় ছাড়াও অনেক স্কুল- কলেজ স্টুডেন্ট, চাকরিজীবী মানুষ তাদের ব্যস্ত জীবন থেকে বিরতি নিয়ে এই লেকের চারপাশের মনোরম পরিবেশে সময় কাটাতে আসেন।
এই লেকের কাছকাছি রয়েছে একটি Japanese-Buddhist temple, একটি মসজিদ, সুইমিং ক্লাব এবং মুক্ত মঞ্চ। এছাড়া সন্ধ্যেবেলায় এই লেকের চারপাশের লাইটিং ও দারুন দেখতে লাগে।
এই lake টি কলকাতার কাছাকাছি অবস্থিত। এখানে সুন্দর পাখি এবং সবুজ পরিবেশের উপস্থিতির কারণে এই লেক এবং এখানকার চারপাশের জায়গাটি পিকনিক প্রেমীদের থেকেও ফটোগ্রাফার এবং প্রকৃতিপ্রেমীদের অনেক বেশি আকৃষ্ট করে। এখানে এমন কিছু প্রজাতির হাঁস দেখতে পাওয়া যায় যেগুলো সচরাচর অন্য জায়গায় দেখতে পাওয়া যায় না।
ঠিকানাঃসাঁতরাগাছি, হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ ৭১১১০৯ (সাঁতরাগাছি রেলস্টেশন থেকে ৩ মিনিট)
সময়সীমাঃ২৪ ঘণ্টা
টিকিটেরদামঃ কোন entry fee লাগে না।
সবাই সুস্থ থাকুন, এই পৃথিবী আবার সুস্থ হয়ে উঠুক এই কামনা করি ধন্যবাদ।
ভালো লাগলে পোস্টটি সকলের সাথে অবশ্যই শেয়ার করুন । আপনাদের মতামত নিচে কমেন্ট করে অবশ্যই জানান আমরা অপেক্ষায় আছি ।